বিয়ের দাবিতে শিক্ষকের বাড়িতে কলেজ ছাএীর অনশন

হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে বিয়ের দাবিতে এক শিক্ষকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন এক কলেজ ছাত্রী। সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ৮টা থেকে উপজেলার বকুয়া ইউনিয়নের ধুকরিয়া এলাকার কোচিং শিক্ষক আসাদুজ্জামান অনিক(২৬) এর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন কলেজ শিক্ষার্থী ঈশিতা (১৯)।আসাদুজ্জামান অনিক ওই গ্রামের ইউনুস আলী মাস্টারের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী একই গ্রামের ইউসুফ আলীর মেয়ে। । আসাদুজ্জামান অনিক বালিয়াডাংগী আকবর আলী কলেজের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ও আর মেয়ে ঈশিতা রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। ঘটনার পর প্রেমিক শিক্ষক বাড়ি থেকে পালিয়েছেন।ভুক্তভোগী ওই কলেজছাত্রী জানান, এএস কোচিং সেন্টার নামে আসাদুজ্জামান অনিকে কোচিং এর ছাএী আমি।সেই সুএ ধরে ৬ মাস ধরে তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক। প্রেমের ফাঁদে ফেলে প্রেমিক আসাদুজ্জামান অনিক তাকে গত শনিবার দুপুরে কোচিং এর নাম করে ফাঁকা বাসায় ডেকে আমাকে জোর করে মেলামেশা করেছেন। সম্প্রতি বিষয়টি পরিবারের মধ্যে জানাজানি হয়। এরপর থেকেই অনিককে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ছেলে প্রথমে বিয়ের জন্য সম্মতি দিলেও পরে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যায়। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ঈশিতা জানান, তার সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এবং আমার কাছে সব ডকুমেন্টস আছে।আমি চাই অনিক আমাকে বিয়ে করুক।সম্প্রতি ধূকরিয়াএলাকায় ওই তরুণীর সাথে অনিক কয়েবার দেখা করেন পরে তাদের মধ্যে মেলামেশা হয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষার্থী।দেখা করার বিষয়টি লোকসমাজে জানাজানি হলে মান সম্মানের ভয়ে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের জন্য অনশন করেন ওই কলেজ শিক্ষার্থী। পরে ছেলেসহ ছেলের পরিবার তাদের মধ্যে থাকা সম্পর্ক মানতে নারাজ। এই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়েই প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে তিনি অনশন শুরু করেছেন। প্রেমিক বিয়ে না করলে আত্মঘাতি হবেন বলেও জানান ওই কলেজ ছাত্রী।ভুক্তভোগী মেয়ে ঈশিতা জানান, জোর করে বাড়িতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছেলের পরিবার তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পলাতক থাকায় এ বিষয়ে প্রেমিক অনিক মিয়ার মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের লোকজন বলেন, তাদের ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক নেই। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা অপবাদ।মেয়ের অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছিল। মেয়েটি আমাদের পরিবারের নামে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে। বকুয়া ইউনিয়নে পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মেহেবুব জানান, এই বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কোন পক্ষকে রাজি করাতে পারি নি। ৩ নং বকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু তাহের বলেন, বিষয়টি আমি অবগত।আমি স্হানীয় ইউপি সদস্যের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিব।হরিপুর থানার ওসি জাকারিয়া মন্ডল বলেন, এবিষয়ে কোন ধরনের অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।